2 Best Related Posts WordPress plugins with Thumbnail

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন

আলোচনা গভির হবার পূর্বে একটু জেনে রাখুন, ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগইন কিভাবে কাজ করে? আচ্ছা, প্লাগইন হচ্ছে আপনার ফোনের অ্যাপের মতো। মানে, যে ফাংশন গুলো আপনার ফোনে ডিফল্টভাবে নেই অ্যাপ ইন্সটল করার মাধ্যমে সহজেই সেই ফাংশন গুলো  ফোনে এনাবল করা যেতে পারে, তাইনা? ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন গুলোও ঠিক একই কাজ করে। আপনার ওয়ার্ডপ্রেসে ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ বিল্ডার ফিচার নেই, ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন ইউজ করে সহজেই সেটা সাইটে এনাবল করা যেতে পারে। আপনি উ-কমার্স প্লাগইন ইন্সটল করে সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে স্টোর ফিচার এবাবল করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের মতো প্লাগইন গুলোও কিন্তু পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে লিখিত হয়ে থাকে। ফোনে বেশি অ্যাপ ইন্সটল থাকলে যেমন ফোনের সিপিইউ, র‍্যাম, ও স্টোরেজ বেশি খরচ হবে, ওয়ার্ডপ্রেসের ক্ষেত্রেও তাই। কেনোনা, প্লাগইন গুলো সম্পূর্ণ অ্যাপের ন্যায় আচরণ  করে এবং নিজে কাজ করার জন্য সার্ভারে অনেক প্রসেস তৈরি করে। এই জন্যই সর্বদা ভালো হোস্টিং কোম্পানি থেকে সার্ভিস নেওয়া উচিৎ, তারা আপানার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের রিকোয়ারমেন্ট বোঝে এবং আপনাকে বেস্ট প্ল্যান সাজেস্ট করে যাতে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট স্মুথভাবে চলতে পারে। আশা করা যায়, একজন নন-টেকি ইউজার হলেও আপনি বুঝে গেছেন, ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগইন গুলোর কাজ কি, তাইনা? এই পোস্টের জন্য এতোটুকু বুঝলেই হবে, এখন আলোচনা করা যাক ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন কেন জরুরী সেই ব্যাপারে।

ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগইনের প্রয়োজনীয়তা

ওয়ার্ডপ্রেস অনেক বেশি শক্তিশালী আর অনেক কিছুই করা সম্ভব এ থেকে। কিন্তু একটা সত্য মানতেই হবে, এই হিউজ প্লাগইন লাইব্রেরি থাকার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস আজকের এতোবেশি জনপ্রিয়তা কুড়াতে পেড়েছে। দিনের পর দিন নতুন নতুন প্লাগইন যুক্ত হতেই চলেছে ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য। হিউজ অ্যামাউন্ট অফ প্লাগইন এদের মধ্যে ফ্রী, তবে পেইড প্লাগইন ও অনেক রয়েছে। এই আর্টিকেল লেখার সময়ে অফিশিয়ালভাবে ৫৫,০০০+ ফ্রী ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন প্রাপ্য রয়েছে। প্লাগইন ইউজ করার মাধ্যমে সাইটে নতুন নতুন ফাংশন যুক্ত করা সম্ভব, যেটা বিশেষ করে যেকেউই করতে পারে, একেবারে প্লেস্টোর থেকে ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করার মতো। ইউজারদের উপরে কন্ট্রোল, বেটার এসইও, কন্টাক্ট ফর্ম, অনলাইন স্টোর, সবকিছু সহজেই সেটআপ করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন গুলো মারাত্মক ভূমিকা পালন করে। এক কথায় বলতে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন ছাড়া আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট গ্রো করানো অনেকটা দাত ভাঙ্গা জবে পরিণত হতে পারে। প্লাগইন ছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস সাইট হচ্ছে খেলনা ব্যাতিত খেলনার দোকানের মতো, মানে কোনই মজা নেই!

বেশি প্লাগইন থেকে সমস্যা

একটা জিনিষ অন্তত এক বাক্যে পরিষ্কার করতে চাই, দেখুন, বেশি প্লাগইন রয়েছে মানেই যে সাইট স্লো হবে বা পারফর্মেন্স খারাপ হবে এমনটা নয় কিন্তু। পরিমাণে তেমন সমস্যা করে না, কিন্তু প্লাগইন কোয়ালিটি ম্যাটার করে। আপনার সাইটে ৫০ টা ওয়েল রেপুটেড প্লাগইন থাকলেই সমস্যা হবে না, কিন্তু মোট ১০ টা প্লাগইন রয়েছে তার মধ্যে ১টা যদি খারাপ প্লাগইন থাকে সেক্ষেত্রে সাইট বেশি স্লো হয়ে যেতে পারে। আপনার সাইটে ডজনের বেশি প্লাগইন থাকতে পারে, এতে সাইটে কোন সমস্যা ছারাই রান করবে, কিন্তু একটা খারাপভাবে কোড করা প্লাগইন বেশি ড্যামেজ করতে পারে। তবে আপনার সাইটের কোন সমস্যা হলে যখন আপনার হোস্টিং প্রভাইডারকে সাপোর্ট দিতে বলেন, তারা সর্বদাই বলবে আপনার সাইটে বেশি প্লাগইন রয়েছে তাই সমস্যা হচ্ছে। তাদের কথায় যুক্তি ও রয়েছে। যদি আপনার সাইটে ৫টা প্লাগইন থাকে সেক্ষেত্রে সাইট ট্রাবলশুটিং করতে ইজি হবে ১৫ টা প্লাগইন থাকার তুলনায়। আপনি যতোবেশি প্লাগইন ইউজ করবেন, আপনার ডেভেলপার বা হোস্টিং সাপোর্ট টিমের কাজ ততোবেশি কঠিন হয়ে যাবে।
আপনার এক্সট্রা জ্ঞানের জন্য জানিয়ে রাখি, আমার পরিচিত এক স্টাব্লিশ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে ৫০+ প্লাগইন রয়েছে, কিন্তু সাইট স্মুথভাবেই রান করে। অনেকে অনেক প্লাগইন না কিনে জাস্ট অনলাইন থেকে ফ্রীতে ডাউনলোড করে। সেই প্লাগইন গুলোতে ম্যালিসিয়াস কোড ইঞ্জেক্ট করানো থাকে যেটা আপনার সাইটের পারফর্মেন্স, লোডিং টাইম, সিকিউরিটি ইত্যাদি সবকিছুর উপরেই ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্লাগইন কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট স্লো করতে পারে?

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন গুলো যেভাবে কাজ করে, সে অনুসারে বেশি প্লাগইন ইউজ করা মানে সার্ভার থেকে বেশি রিসোর্স খরচ করা। কিন্তু প্লাগইন গুলো যতক্ষণ ওয়ার্ডপ্রেসের স্ট্যান্ডার্ড রুলস অনুসরণ করে তৈরি করা হয়, সেক্ষেত্রে পারফর্মেন্সে তেমন একটা ইস্যু আসে না।নানান টাইপের প্লাগইনের কাজ নানান রকমের হয়ে থাকে। কিছু প্লাগইন ফ্রন্ট-এন্ডে কাজ করে, কিন্তু প্লাগইন ব্যাকএন্ডে কাজ করে। উদাহরণ সরূপ, আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ প্লাগইন ইউজ করেন সেক্ষেত্রে প্লাগইন ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রসেস তৈরি করবে এবং সিপিইউ থেকে বেশি রিসোর্স দরকারি হবে। অনেক প্লাগইন রয়েছে যেগুলো শুধু নির্দিষ্ট কিছু টাস্ক করার সময় লোড নেই, না হলে কাজ করেনা। আপনার সাইট স্লো হবে কিনা সেটা নির্ভর করে আপনার প্লাগইন গুলো কখন কোথায় এবং কিভাবে লোড নিচ্ছে। অনেক প্লাগইন সবসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে রান হয়ে থাকে, এরা সাইটের পারফর্মেন্স খারাপ করতে পারে। কিন্তু কন্টাক্ট ফর্ম জাস্ট নির্দিষ্ট পেজেই লোড হয়, সেক্ষেত্রে এই প্লাগইন সাইটের কোন কিছুই স্লো করবে না। তবে ওয়েবসাইটে ক্যাশিং সিস্টেম ইউজ করে ডাটাবেজ সার্ভারের এবং মেইন সার্ভারের সিপিইউ লোড কমানো যেতে পারে। ক্যাশ প্লাগইন ছাড়া আপনার সাইট কিন্তু সর্বদায় স্লো কাজ করবে।

কতো সংখ্যক প্লাগইন ইউজ করা বেস্ট?

দেখুন, আপনার ওয়েবসাইটকে পরিপূর্ণ করতে বা সঠিকভাবে গ্রো করাতে যতোগুলো প্লাগইন ইউজ করা জরুরী তা তো ইউজ করতেই হবে। সেটা ১০টা ও হতে পারে আবার ৫০+ ও হতে পারে। আমাদের স্টাডি অনুসারে, আপনি যদি ভালো হোস্টিং কোম্পানি থেকে সার্ভিস গ্রহণ করেন এবং বেস্ট প্লাগইন গুলো ইউজ করেন সেক্ষেত্রে ৫০+ প্লাগইন ইউজ করার পরেও সাইটের মোটেও সমস্যা দেখা যাবে না।
আগেই বলেছি, কতো গুলো প্লাগইন ইউজ করছেন সেটা তেমন ম্যাটার করে না, ম্যাটার করে প্লাগইন গুলোর কোয়ালিটি কেমন। একটি বিজনেস ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ২০-৩০ টা প্লাগইন থাকেই, আর এটা একেবারেই নর্মাল। আর আপনি যদি সাইটে অ্যাডভান্স ফিচার যুক্ত করতে চান সেক্ষেত্রে ৫০+ প্লাগইন জরুরী হতে পারে।

কিভাবে বেস্ট প্লাগইন গুলো নির্বাচন করবেন?

বিশেষ করে নিয়মিত আপডেট প্রদান করা এবং বেশি ডাউনলোড করা প্লাগইন গুলো ইন্সটল করার চেষ্টা করবেন। যদি আপনি প্রিমিয়াম প্লাগইন ইউজ করেন অবশ্যই যাচায় করে নেবেন তারা কতো ভালো কোম্পানি, তাদের কতোটা সুনাম রয়েছে এবং ইউজার রিভিউ যাচায় করতে ভুলবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.