ইন্টারনেটে প্রক্সি (proxy) বিষয়টি আসলে কী?

0
570

Proxy শব্দটির সাথে ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টদের খুব ভালো পরিচয় আছে 😂 । প্রায় সকালেই শোনা যায় – “দোস্ত আমার proxy টা দিয়ে দিস” এখানে proxy দিয়ে বোঝানো হয় ক্লাসে অনুপস্থিত থেকেও অন্য কাউকে দিয়ে এটেন্ডডেন্স দেয়া। ঠিক সেরকম ভাবেই proxy server ও অন্যের জন্য কাজ করে থাকে, পরের অংশটুকু দেখলেই তা পরিস্কার হয়ে যাবে।

ইউজার এবং ইন্টারনেটের মাঝে proxy server একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ধরুন আপনি নেটে কিছু সার্চ করবেন, উদাহরন স্বরুপ, আপনি গুগল করলেন “ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো”, এখন আপনার এই রিকোয়েস্ট ইন্টারনেটে সরাসরি যাবে না, যাবে আরেকটি কম্পিউটার হয়ে যেটা proxy server নামে পরিচিত। নেট থেকে রোনাল্দোর যাবতীয় ডেটা আবার proxy server হয়ে আপনার ডিভাইস এ আসছে। অর্থাৎ, আপনি মূলত ইন্টারনেটের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করছেন না, করছেন proxy server এর সাথে!

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসার কথা, এত ভেজালের দরকার টা কি?

দরকার অবশ্যই আছে, কয়েকটি কারন দিচ্ছি:

১. এটা ফায়ারওয়াল এর অংশ হিসেব কাজ করে।( যারা জানেন না ফায়ারওয়াল কি, এটা ইন্টারনেটের ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার ( সহজ কথায় ভাইরাস) থেকে নিরাপত্তা দেয় ।

২. ক্যাশ মেমরি হিসেবে কাজ করে, ধরুন আপনি একটি সাইট বারবার সার্ফ করেন। প্রথম বার ভিজিট এর পর সাইট এর কপি proxy server এ সেভ করা থাকে যাতে ভবিষ্যতে ওই একই সাইট ব্রাউজ করলে চটপট চলে আসে।

৩. বিভিন্ন কন্টেন্টে জিওগ্রাফিকাল রেস্ট্রিকশন দেয়া থাকে, ধরুন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের কোন সাইট ভিজিট করতে পারছেন না, তখন ভারতের কোন proxy server এ যুক্ত হয়ে এক্সেস করতে পারবেন।

৪. Anonymous ভাবে ব্রাউজ করতে পারবেন। সবার একটা IP address থাকে যেটা দিয়ে ইন্টারনেটে আপনাকে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু proxy server এর কারনে রিকোয়েস্ট সরাসরি আপনার IP address থেকে না গিয়ে proxy server থেকে যায় যার ফলে প্রাইভেসি প্রটেক্টেড থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.